১লা ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম নির্বাচনে পরাজিত হওয়ায় উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে। আজও সবার মনে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, রাজনীতিতে আসলেই কি হিরো আলমের পেছনে ছিল বিএনপি?
Quick Navigation:
মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না, এই উপনির্বাচনের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হয়েছে। তিনি আরও যোগ করেছেন যে তিনি বিস্তারিতভাবে যাব না তবে একটি জিনিস যা হিরো আলম আজ প্রমাণ করেছেন যে হিরো আলমের সামনে আওয়ামী লীগ এমনকি অসহায়, এবং জিততে তাকে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করতে হয়েছিল।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের প্রতিক্রিয়া
মির্জা ফখরুলের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংসদের আকার ছোট করার উদ্দেশ্য নিয়েই বিএনপি হিরো আলমকে নির্বাচনে মাঠে নামিয়েছে। তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল ভেবেছিলেন হিরো আলম জিতবেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত হিরো আলম জিরো হয়ে যাওয়ায় তার স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়।
বগুড়া-৪ আসনে জয়ী হয়েছেন রেজাউল করিম তানসেন
স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও, তিনি বগুড়া-৪ আসনে একেএম রেজাউল করিম তানসেনের (ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী) কাছে ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। .
বগুড়া-৬ আসনে জয়ী রাগেবুল আহসান রিপু
বগুড়া-৬ আসনে রাগেবুল আহসান রিপু (নৌকা প্রতীকের প্রার্থী) ৪৯ হাজার ৩৩৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এবং এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হিরো আলম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৭৪ ভোট।
উপসংহার
রাজনীতিতে হিরো আলমের পেছনে বিএনপি ছিল কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে একটি বিষয় বেশ স্পষ্ট- হিরো আলম নির্বাচনে জয়ী হননি এবং তার পরাজয় সবার মনে প্রশ্ন তুলেছে। ভবিষ্যতে এই গল্পটি কীভাবে আরও উন্মোচিত হয় তা দেখতে আকর্ষণীয় হবে।